Thursday, April 25, 2024

এবার ২২ জাতের আঙুর চাষে সফলতার দ্বারপ্রান্তে রুহুল আমিন!

রুহল রাশিয়া, ইউক্রেন ও বিভিন্ন দেশের উন্নত জাতের আঙুর বীজ সংগ্রহ করে তার বাগানে চাষ করছেন। তার বাগানে প্রায় ২২ জাতের আঙুর রয়েছে। এবছর কিছু কিছু গাছে ফলন আসলেও আগামীতে সবগুলো গাছে ফলন আসবে। এতে এই জেলার আঙুরের চাহিদা অনেকটাই পূরণ করতে পারবেন বলে তিনি মনে করেন। কুড়িগ্রামে বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষে কৃষি উদ্যোক্তা রুহুল আমিন সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌছেছেন।

কৃষি উদ্যোক্তা রুহুল আমিন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার গঙ্গার হাটের বাসিন্দা। তিনি গত ২ বছর আগে রাশিয়া, ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে উন্নত জাতের আঙুরের চারা সংগ্রহ করেন। তারপর বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তার বাগানে বাইকুনর, গ্রীণলং, একেলো সহ প্রায় ২২ জাতের আঙুরের গাছ রয়েছে। এইসব আঙুরগুলো খেতে খুবই সুস্বাদু ও মিষ্টি। দেশে প্রতিবছর এই আঙুরগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। আমদানি নির্ভরতা কমবে পাশাপাশি চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবেন। আমদানিকৃত ফলের মতো স্বাদ হওয়ায় মিলছে সফলতা।

জেলায় ৪৭ হাজার ৩০২ হেক্টর জমি রয়েছে যা আঙুর চাষের জন্য উপযুক্ত। জেলার ফুলবাড়ী ও সদর উপজেলায় ৩ বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে আঙ্গুর চাষ হয়েছে। এতে চাষি সফলতা পেতে শুরু করেছেন।

আঙ্গুর চাষি রুহুল আমিন বলেন, আমি গত ২ বছর আগে রাশিয়া, ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আঙুরের চারা সংগ্রহ করি। সংগ্রহের পর জমিতে রোপণ করেছি। এর চাষে বিদেশিদের চাষ পদ্ধতি অবলম্বন করেছি। আশা করছি আগামী বছর সবগুলো গাছেই ফলন আসবে এবং এই জেলার আঙুরের চাহিদা অনেকাংশেই পূরণে সক্ষম হতে পারবো। গত বছর অল্প কিছু ফলন পেলেও এবার তার থেকে বেশি ফলন পেয়েছি।

বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্যান্য চাষিরা এর চাষের জন্য আগ্রহী হয়েছেন। এই জেলায় এটাই প্রথম আঙুরের বাগান। নতুন উদ্যোক্তাদের মধ্যে এর চাষ বেশি সাড়া ফেলেছে। ফলে রুহুল আমিনের বাগানে প্রতিদিন মানুষ ভীড় করছে।

আরেক উদ্যোক্তা আবু রায়হান ফারুক বলেন, আমি রুহুল আমিন চারা সংগ্রহ করে রোপন করেছিলাম। এখন আমার অনেক গাছেই ফল আসা শুরু করেছে। আমার মতো আরো অনেক উদ্যোক্তা যদি এর চাষ শুরু করে তাহলে আমদানি নির্ভরতা কবে। আঙুরের জাত খুব ভাল। এর স্বাদ খুব মিষ্টি ও রসালো।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বিল্পব কুমার মোহন্ত বলেন, আঙুর একটি সারাবছর চাহিদা পূর্ণ একটি ফল। সারা বছর এর চাহিদা থাকায় বিপুল পরিমানে জোগান দিতে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এর চাষে ফলনও পাচ্ছেন। আশা করছি তারা সফল হলে আমাদের আমদানি নির্ভরতা কমবে। বর্তমানে আমাদের জেলায় কয়েকজন উদ্যোক্তা আঙুরের চাষ করছেন।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট