Thursday, April 25, 2024

এবার চিনাবাদামের বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে

কৃষকরা এই অনাবাদী বালুচরেই লাভজনক ফসল বাদামের চাষ করেন। বাদাম চাষে খরচ কম, ফলন বেশি ও বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে লাভ হয় বলে এখানকার কৃষকরা এর চাষে বেশি আগ্রহী হয়েছেন। বালুচরের অনাবাদী জমিতে চিনাবাদাম চাষে বাম্পার ফলন পেয়েছেন বগুড়ার চরাঞ্চলের কৃষকরা। প্রতি বছর বন্যায় এইসব জমিগুলো বালু পড়ে অনাবাদী হয়ে পরে।

বগুড়ার সরিয়াকান্দি উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন যমুনার পাড়ে অবস্থিত। এই ৪টি ও বাকিগুলোর কিছু কিছু অংশ নদীগর্ভে রয়েছে। প্রতি বছর বন্যার পর এই অঞ্চলের জমি গুলো বালু পড়ে অনেকটা জায়গা জুড়ে অনাবাদী হয়ে যায়। এতে কোনো প্রকার চাষ, সার, সেচের প্রয়োজন পড়ে না। কৃষকরা বিনা খরচেরই এর চাষ করে ফসল ঘরে তুলতে পারেন। কৃষকরা বালুচরের এই অনাবাদী জমিগুলোতেই চিনাবাদামের চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। বন্যার পানি চলে গেলে কৃষকরা লাইন করে একটি বা দুটি বাদাম রোপন করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কৃষকরা ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে জমিতে চিনাবাদাম রোপণ করেন। আর মার্চ মাসের প্রথমে জমি থেকে ফসল তুলতে পারেন। বর্তমানে কৃষকরা জমি থেকে চিনাবাদাম তুলে বাজারে বিক্রির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবছর তেমন বন্যা না হওয়ায় কৃষকরা আগাম নভেম্বর মাসেই বাদাম রোপন করেন।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের অন্তারপাড়া গ্রামের বাদাম চাষি তুহিন মিয়া বলেন, আমি গত কয়েক বছর যাবত বাদামের চাষ করে লাভবান হচ্ছি। প্রতি বছরের ন্যায় বছরও ৬ বিঘা জমিতে চিনাবাদাম চাষ করেছি। জমিতে ফলন খুবই ভালো হয়েছে। বাজারে বাদামের দাম ভালো রয়েছে। আশা করছি এবছরও লাভবান হতে পারবো।একই চরের কৃষক আজমল বলেন, আমি ৫ বিঘা জমিতে বাদামের চাষ করেছি। ভালো ফলন হয়েছে। আশা করছি বিক্রি করে লাভ করতে পারবো।

কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নের নান্দিনার চরের কৃষক আফজাল হেসেন বলেন, চলতি বছর আমি ১৬ বিঘা জমিতে চিনাবাদামের চাষ করেছি। এখন জমি থেকে বাদাম তুলতেছি। বাজারদর ভালো থাকালে আশা করছি লাভ হবে।

সারিয়াকান্দি বাজারের ব্যবসায়ী মতি মিয়া বলেন, বাদামের বর্তমান বাজারদর ভালো। এ বছর কাঁচা বাদাম প্রতি মণ ২০০০-২১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, চলতি বছর ৯৬৫ হেক্টর জমিতে চিনাবাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ৮৮০ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, প্রতি বছরের তুলনায় এ বছরও কৃষকরা আগামভাবে চিনাবাদাম চাষ করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে কৃষকরা ৮-১০ মণ করে চিনাবাদাম পাচ্ছেন। ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট