হিলিতে পাইকারি বাজারে দুইদিন আগে গত বুধবার (১৬ মার্চ) প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম প্রকারভেদে ২০-২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) তা কমে ১৮-২৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিন বন্দর দিয়ে রেকর্ড সংখ্যক পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। পবিত্র শবে বারাত এবং আগামী তিন দিন আমদানি বন্ধ থাকায় বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে একদিনে এসেছে দুই হাজার ১৭৬ টন পেঁয়াজ। এতে বন্দরে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ২-৩ টাকা করে।
হিলি স্থলবন্দরের একজন পেয়াজ ব্যবসায়ী বলেন, একদিনেই বন্দর দিয়ে রেকর্ড সংখ্যক পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এতে সরবরাহ বাড়ায় দাম আরও কমেছে। যে হারে আমদানি হচ্ছে তাতে করে সামনে রমজানে পেঁয়াজের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি। টানা তিন দিন হিলিসহ দেশের সবগুলো বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে। এসময় বন্দর দিয়ে অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি কোনও পেঁয়াজ আসবে না। তবে দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আমদানি বাড়ানো হয়েছে।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতারা বলেন, বন্দর দিয়ে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ এসেছে। বাজারেও পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। এ কারণে প্রতিদিনই দাম কমছে। তবে আমরা যে দামে কিনে বিক্রি করছি, সব পেঁয়াজ বিক্রি না হতেই বাজার কমে যাচ্ছে। এতে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে।
এছারাও হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে ইন্দোর, নাসিক, গুজরাট, নগর জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ একদিন আগেও ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও, এখন তা কমে ১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া নাসিক ও গুজরাট নগর জাতের পেঁয়াজ ২৬ টাকা দরে বিক্রি হলেও, এখন তা কমে ২৩-২৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে হিলির খুচরা বাজারেও কমেছে দাম।