Saturday, April 20, 2024

ইসহাকের এক গাছ থেকেই ২ লাখ টাকার আম বিক্রি!

শখের বশে বাগানটি তৈরী করে এখন সফল হয়েছেন কুয়াকাটার ইসহাক মুন্সি। তার বাগানের আমের সুনাম পুরো উপজেলা জুড়ে রয়েছে। তার বাগানের আম ‘কুয়াকাটার আম’ নামে খ্যাতি পেয়েছে। বর্তমানে তার একটি গাছ থেকেই ২ লাখ টাকার আম বিক্রি করেন। বাড়ির আঙিনায় আম চাষে ইসহাক মুন্সি এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছেন তিনি।

ইসহাক মুন্সি পটুয়াখালির কুয়াকাটার বাসিন্দা। তিনি গত ৮ বছর আগে শখের বশে বাড়ির আঙিনায় মাত্র ৫০টি চারা রোপন করেন। বছরে বছরে ফলন বাড়তে থাকায় বাগানের পরিধি আরো বড় করতে থাকেন। বর্তমানে তিনি তার বাড়ির পাশেই ৪ একর জায়গা জুড়ে বাগানটি বড় করেছেন। তার বাগানে ফজলি, ল্যাংড়া, আশ্বিনা, হিমসাগর, লকনা, কিউজাই, ব্যানানা ম্যাঙ্গোসহ নানা প্রজাতির ১৮০-২০০ টি গাছ রয়েছে। তার গাছের আম খুবেই মিষ্টি ও সবগুলোই কীটনাশক মুক্ত। এছাড়াও দেশিয় প্রজাতির হওয়ায় তিনি ভাল দামে বিক্রিও করতে পারেন। তার একটি গাছ থেকে এবছর প্রায় ৪০ মণ আম উৎপাদন হয়েছে। মানুষ চাইলে করলে তার বাগানে এসে ইচ্ছা মতো আম পেড়ে নিয়ে যেতে পারেন। প্রতি বছর তিনি ৫-৬ লাখ টাকার আম বিক্রি করতে পারেন।

ইসাহাক মুন্সি বলেন, আমি শখ থেকেই বাগানটি শুরু করি। প্রথমে রাজশাহী থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ৫০টি চারা এনে রোপন করি। তারপর থেকে বাগানের পরিধি বড় করতে থাকি। বর্তমানে আমার বাগানে ১০-১২ প্রজাতির প্রায় ২০০টির মতো গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছেই প্রচুর পরিমানে আম ধরেছে। আমার বাড়িতে একটি অনেক পুরানো গাছ রয়েছে। গাছে আরো আম রয়েছে। তাতে আশা করি এই গাছ থেকে ২ লাখ টাকার আম বিক্রি করতে পারবো। এই গাছ থেকে প্রায় ৪০ মণ আম পেয়েছি। যা ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।

কুয়াকাটা এলাকার আলাউদ্দিন নামের চাষি বলেন, এখানে আম বলতে ইসহাক মুন্সির আমকেই সবাই চিনি। তিনি তার একটি গাছ থেকে এখন পর্যন্ত ৪০ মণ আম সংগ্রহ করে বিক্রি করেছেন। যা আমাদের বা আশেপাশের কেউ করতে পারেনি।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ বলেন, স্থানীয়রা আম মানে ইসহাক মুন্সির বাগানের কথাই জানেন। এই উপজেলায় তার মতো দ্বিতীয় আর কেউ এভাবে আমের চাষ করেন না। তিনি তার একটি গাছ থেকেই ২ লাখ টাকার আম বিক্রি করেছেন এটা ব্যাপক সাফল্য।

তিনি আরও বলেন, বিগত ৪-৫ বছর যাবত এই উপজেলায় ব্যাপক ভাবে আমের চাষ হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে এবছর এই উপজেলা থেকে ২৫০ মেট্রিক টন আমের উৎপাদন হবে। ১১০ হেক্টর জমিতে ছোট বড় প্রায় ২০০টি বাগান রয়েছে।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট